ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। কন্টেন্ট হচ্ছে এমন একটি ইনফো বা ইনফর্মেশন যা কাস্টমারের সাথে ব্র্যান্ড বা সার্ভিসের কানেকশন বিল্ড আপ করে থাকে। আপনি আপনার কাস্টমারের কাছে রিচ করার সবচাইতে কার্যকরী মাধ্যম হচ্ছে কন্টেন্ট। ভালো মানের কনটেন্ট ছাড়া কোনভাবেই ব্র্যান্ড বিল্ড আপ করা সম্ভব নয়। তাই একজন মার্কেটারদের ক্ষেত্রে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট কে কিং বলা হয়, কারণ ডিজিটাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট এর মাধ্যমেই মানুষজন ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোতে আরো বেশি সময় এঙ্গেজড হচ্ছে।
কন্টেন্ট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আপনার বিজনেস যদি টি-শার্ট সেলিং নিয়ে হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার কাস্টমারদের জন্যে যদি টি-শার্ট ডিজাইন নিয়ে একটি ভিডিও বা ইমেজ তৈরি করেন, তখন সেটি আপনার কাস্টমারের জন্যে একটি কন্টেন্ট।
এক কথায় কন্টেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটের্জি, যার মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশন, বিজনেস মার্কেটিং এবং নতুন কাস্টমারদের সাথে রিলেশন বিল্ড আপের জন্য অফার, ডেইলি অ্যাক্টিভিটি, ইন্টারেস্ট বা কাস্টমারের সাথে বিজনেস রিলেটেড সাবজেক্ট নিয়ে নানান ধরনের ব্লগ, ভিডিও, ছবি, অডিও তৈরি করা, এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্মে তা শেয়ার করা।
একটি পারফেক্ট কনটেন্ট তৈরি করতে তিনটি বিষয়বস্তু যা নজর রাখা দরকার-
১। ইনফর্মেশনঃ
আপনি কী ধরনের তথ্য দিয়ে কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন?
ইনফর্মেশন, আপনার বিজনেসের উদ্দেশ্য বা বিজনেসের ইন্সাইড অ্যাক্টিভিটি যেমনঃ (প্রমাণ, ব্যাখ্যা এবং উদাহরণ) যা আপনার উদ্দেশ্যকে সফল করে থাকে। এখানে চাইলে আপনি ম্যাসেজ, কোটস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
২। উদ্দেশ্যঃ
কেন আমরা এই কন্টেন্ট ক্রিয়েট করছি? অন্যভাবে বলতে গেলে, আমরা অডিয়েন্সদের কী বোঝাতে/করতে/অনুভূত করতে চাচ্ছি? এই প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে। উদ্দেশ্য তখনই সফল হয় যখন আমরা এক বা একাধিক নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য কনটেন্ট তৈরি করে থাকি এবং তার মাধ্যমে অডিয়েন্স উপকৃত হয়ে থাকে। তাই সর্বপ্রথম উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার দিক থেকে সঠিক থাকতে হবে।
৩। অডিয়েন্সঃ
আমাদের অডিয়েন্স কারা? আমরা প্রায়ই আমাদের অডিয়েন্সদের বিবেচনা না করেই কন্টেন্ট তৈরি করে থাকি। যা সম্পূর্ণ ভুল। আপনি যাদের কাছে পৌঁছাতে চাচ্ছেন, তাদের আগ্রহ এবং তাদের প্রশ্নগুলো কী নিয়ে তা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করুন। যদি সেই আগ্রহ বা প্রশ্নগুলো আমরা কভার করতে পারি তাহলেই অডিয়েন্স ইন্টারেকশন বেশী কাজ করে।
কনটেন্ট প্রধানত পাঁচ ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ
১. ব্লগ পোস্ট/ আর্টকেল
২. ই-বুক
৩. পোডকাস্ট
৪. ইমেইল নিজলেটার
৫. ইনফোগ্রাফি
এখন কথা হচ্ছে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়া বাকিগুলো কী কনটেন্ট না? না বিষয়টা হচ্ছে আপনার বিজনেসকে প্রেজেন্ট করতে যা তৈরি করা হবে ইনফো হিসেবে সেইগুলো কনটেন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর জগতে আপনি একজন মার্কেটার হিসেবে কীভাবে আপনার কন্টেন্ট আপনার কাস্টমারদের সামনে উপস্থাপন করছেন সেটি গুরুত্ব বহন করে।
বর্তমান কন্টেন্ট মার্কেটিং এর অবস্থানঃ
প্রথমত আমরা দেখে নেই পরিসংখ্যান কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্বন্ধে কী বলছে:
Mailchimp.com এর করা এক জরিপে দেখা গেছে-
-
যেসব কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগ পাবলিশ করে থাকে তাদের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ৬৭% পর্যন্ত বেশি বৃদ্ধি পায়।
-
সেলার যখন কোনো কোম্পানির রিপ্রেসেন্টেটিভ এর সাথে কথা বলে, তখন সেই কোম্পানির ৪-৫ টি কন্টেন্ট ভিজিট করে নেয়।
-
যেসব কোম্পানি বর্তমানে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশন রাখছে তাদের গ্রোথ ৩০% বেশি হয়ে থাকে।
-
B2B বিজনেস করছে এরকম কোম্পানির মার্কেটারদের কন্টেন্ট মার্কেটিং করার কারণে ৭২%সেলস বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধমে সেলস বাড়ছে, মার্কেটিং খরচ কমছে, সাথে লয়াল কাস্টমার তৈরিতে হেল্প করছে।